ভারটিকাল গার্ডেন যা গ্রিন ওয়াল বা লিভিং ওয়াল নামেও
পরিচিত, শহরে মানুষের বাগান তৈরির নতুন
ট্রেন্ড। এত দিন আমারা শুধু জেনে এসেছি ভুমিতে বা ছাদের সমতলে বাগান করতে হবে।
কিন্তু প্রখ্যাত ফরাসি বোটানিস্ট প্যাট্রিক ব্লাঙ্ক আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন যে,
ভারটিকাল তল যেমনঃ দেওয়ালেও সমতলের মতোই বাগান করা সম্ভব। ঠিক যেভাবে খাড়া পাহাড়ের গা
বেয়ে গাছপালা জন্মে থাকে।
ইনডোর ভারটিকাল গার্ডেন ছবিঃ সংগৃহীত |
ভারটিকাল গার্ডেন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে খুব বেশী দিন হয়নি তবে তা খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একটি সাদামাটা দেয়াল প্রাণবন্ত করে তুলতে ভারটিকাল বাগান অসাধারন কাজ করে। এখন বিল্ডিং আর্কিটেকচারে ভারটিকাল গার্ডেন নতুন অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে। বিশেষত গ্রিন বিল্ডিং ধারনায় এটি একটি আবশ্যিক উপাদান। আর মজার বিষয় হল, ভারটিকাল বাগান যেমন আউটডরে করা যায় তেমনি ইনডোরেও একিভাবে তা করা সম্ভব।
ভারটিকাল বাগান তৈরিতে ড্রিপ ইরিগেশন এবং হাইড্রপনিক পদ্ধতি
ব্যাবহার করা হয়।সাধারনতঃ স্টিল বা কাঠের ফ্রেমে (যা কোন দেওয়ালের সাথে লাগানো
অবস্থায় থাকে) বিশেষ ধরনের প্লাস্টিকের তৈরি প্লান্টার পট ঝুলিয়ে গাছ লাগানোর জন্য
ভিত্তি তৈরি করা হয়। এরপর তাতে পানি সঞ্চালন লাইন স্থাপন করে সাবস্ট্রেট দিয়ে গাছ লাগাতে
হবে। মনে রাখতে হবে ভারটিকাল বাগানে সাধারণ বাগানের মতো পানি
দেওয়া যাবে না এতে অবশ্যই ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম স্থাপন করতে হবে। এবং এর
মাধ্যমে তরল সার পানির সাথে মিশিয়ে নিয়মিত প্রয়োগ করতে হবে।
আউটডোর ভারটিকাল গার্ডেন ছবিঃ সংগৃহীত |
ভারটিকাল বাগানের জন্য গাছ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঐ স্থানে কি পরিমান সূর্যালোক পড়ে তা প্রধান বিবেচ্য বিষয়। আর ইনডোরে এমন বাগান করতে চাইলে অবশ্যই কৃত্রিম আলোর ব্যাবস্থা করতে হবে। আকার- আকৃতিতে ছোট এমন ঝোপ জাতীয় গাছ এ ধরনের বাগানের জন্য উপযুক্ত যেমনঃ ফার্ন, বাহারী কচু, কালাথিয়া, হস্তা, স্পাইডার প্লান্ট, বেগনিয়া, ব্রমেলিয়া, অক্সালিস, সাকুলেন্ট, অর্কিড ইত্যাদি। তবে আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের লতানো গাছ ব্যাবহার করতে পারেন।যেমনঃ মানিপ্লান্ট, আইভি লতা ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, মশলার গাছ, হারবাল গাছ ইত্যাদি দিয়েও আপনি ভারটিকাল বাগান সাজাতে পারেন। তবে সব ক্ষেত্রেই এমন ভাবে গাছ নির্বাচন এবং রোপণ করতে হবে যাতে পুরো জিনিষটা একটা ইকো- সিস্টেমের মতো কাজ করে এবং বছরের পর বছর কোন ধরনের বাড়তি পরিচর্যা ছাড়াই টিকে থাকতে পারে।