Post Top Ad

জাতীয় বৃক্ষ মেলা ২০১৭: ঘুরে আসুন বৃক্ষ মেলা

প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন করা হয়েছে জাতীয় বৃক্ষ মেলা।ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলার স্থানে শুরু হয়ে এই মেলা চলবে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত। এবার মেলায় বিভিন্ন ধরণের ১০০ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।এর মধ্যে আছে নার্সারী, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, হারবাল প্রোডাক্ট, আগ্রো-কেমিকাল, বিয়োটেকনোলজি, অর্কিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। 

বৃক্ষ মেলায় প্রথমেই যা আপনার চোখে পড়বে তা হলো বহু ধরণের আমসহ আমের গাছ।বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই গাছগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।এ ছাড়া এমন সব ফলের গাছ মেলায় উঠেছে যেগুলো আমাদের দেশীয় ফল নয়। যেমন: মঙ্গোস্টিন, পিচ , চেরী , নাশপাতি, আভোকাডো ইত্যাদি। এসব গাছে ফল ধরে আছে তাই ফল ধরবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়। তবে আপেল গাছে ফল ধরবে কিনা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছে না নার্সারিগুলো। 

এবারের মেলাতেও বিশাল অংশ জুড়ে আছে ইনডোর প্লান্ট।আপনি নানা ধরণের ইনডোর প্লান্টের বিশাল সমারোহ পাবেন এখানে। নতুন ধরণের হাইব্রিড গাছ যে গুলো প্রধানত বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে তা আপনি এই মেলায় পাবেন। ক্যাকটাসের পাশাপাশি নানা ধরণের সাকুল্যান্ট কিংবা এয়ারপ্লান্ট পাওয়া যাচ্ছে। 

বরাবরের মতো প্রচুর ফুলের গাছ পাওয়া যাচ্ছে তবে এখানে নতুনত্ব নাই বললেই চলে। তবে শুধু মাত্র অর্কিড উৎপাদন করে এমন দুইটি প্রতিষ্ঠান মেলায় উপস্থিত হয়েছে বাহারি সব অর্কিড নিয়ে। আপনার অর্কিডের সংগ্রহ বাড়াতে চাইলে এই মেলা তাই বড় সুযোগ।

এবারের মেলায় বাগান সামগ্রীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

জাতীয় বৃক্ষ মেলার অবকাঠামো অত্যন্ত নিম্নমানের। দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নাই। বহু বছরেও এই দিকে কোনো উন্নতি নাই। মেলার সজ্জা একঘেয়েমী লাগে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন লোকের অভাব রয়েছে যারা সাধারণ দর্শনাথীদের বিভিন্ন গাছপালার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে।

আমদানি করা কিছু গাছ ছাড়া গাছপালাতে নতুনত্ব নাই। প্রযুক্তিগত কোনো বিষয়ের উপস্থিতি নাই। এই মেলাকে আরো আকর্ষণীয় করতে এইসব দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

আরেকটা বিষয় বনসাই গুলো অতি নিম্নমানের। কোনো আর্ট নাই। দেখতে মোটেও ভালো লাগে না।

6/15/2017 / by / 0 Comments

Post Top Ad