ট্রাইকোডারমা কি?
ট্রাইকোডারমা এক প্রকার আণুবীক্ষণিক
ছত্রাক যা সাধারণ ভাবে উর্বর মাটিতে থাকে। এটা বিভিন্ন ভাবে গাছ-পালার জন্য ক্ষতিকর
ছত্রাক এবং নেমাটোড দমন করতে পারে যেমনঃ বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, টক্সিন, এনজাইম নিঃসরনের মাধ্যমে, দ্রুত বংশ বিস্তার করে
ক্ষতিকর ছত্রাকের বংশ বিস্তার অবদমিত করে, পরজীবী হিসাবে অন্য ছত্রাককে আক্রান্ত করে
ইত্যাদি উপায়ে। ট্রাইকোডারমা ছত্রাকের এই বিশেষ বিশিষ্টের কারনে এটি জৈব
ছত্রাকনাশক বা বায়ো ফানজিসাইড হিসাবে কৃষিকাজে বা বাগানে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
ট্রাইকোডারমা ছত্রাক ছবিঃ সংগৃহীত |
গাছে কেন ব্যাবহার করবেন?
১। ছত্রাক এবং নেমাটোড দমনঃ
এটি সরাসরি ক্ষতিকর ছত্রাক এবং নেমাটোড দমন করে কিন্তু রাসায়নিক ছত্রাকনাশকের মতো
পরিবেশের কোন ক্ষতি করেনা।
২। গ্রোথ প্রমোটারঃ এটি
মাটিতে থাকা মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট গাছের গ্রহন উপযোগী করে গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৩। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিঃ
এটি গাছকে বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে। চারা অবস্থায় এর প্রয়োগ ভবিষ্যতে গাছকে সুস্থ সবল রাখে।
৪। বায়ো-ডিগ্রেডেশনঃ
ট্রাইকোডারমা মাটিতে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক যেমনঃ কীটনাশক নষ্ট করে মাটিকে
উর্বর করে তুলতে সহায়তা করে।
কিভাবে ব্যাবহার করবেন?
ট্রাইকোডারমা দুই ভাবে
ব্যাবহার করা যায়।
এক, ট্রাইকোডারমা পাওডার
পানিতে মিশ্রিত করে গাছে প্রয়োগ করে।
দুই, জৈব সার বা কম্পস্টের সাথে
মিশ্রিত করে মাটিতে প্রয়োগ করে।
কোথায় পাবেন?
বিশ্বের অনেক দেশে এর
বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং ব্যাবহার অনেক আগেই শুরু হলেও বাংলাদেশে খুবই সীমিত পরিসরে
এর ব্যাবহার হচ্ছে। আপনি আপনার বাগানে এটি ব্যাবহার করতে চাইলে আমাদের সাথে ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা ট্রাইকোডারমা কম্পোস্ট বিক্রয় করে থাকি।
সবশেষেঃ
মাটি বাহিত রোগ যেমনঃ
ফুসারিয়াম, পাইথিয়াম, রাইজোকটোনিয়া, রুট নেমাটোড ইত্যাদি আপনার গাছপালার জন্য বিরাট ক্ষতির
কারন হতে পারে। ট্রাইকোডারমা এসব রোগের হাত
থেকে গাছপালা রক্ষার সবচেয়ে উপযুক্ত অস্ত্র। তাই পরিবেশের এবং স্বাস্থের
জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যাবহার বন্ধ করে এই ধরনের জৈব ছত্রাকনাশক ব্যাবহার শুরু
করা উচিৎ নয় কি?