ক্যাকটাস এক ধরনের কাঁটাযুক্ত রসাল গাছ যা সাধারানত মরু অঞ্চলে জন্মে। আমেরিকার পাথুরে শুষ্ক মরুভুমি এদের আদি নিবাশ। তা সত্ত্বেও ক্যাকটাস আমাদের দেশের ট্রপিকাল আবহাওয়ায় ভালভাবেই বেঁচে থাকতে পারে। যেমনঃ আমাদের অতি পরিচিত ফণীমনসা।
ক্যাকটাস ছবিঃ সংগৃহীত |
ক্যাকটাস, যেন প্রকৃতির নিজস্ব শিল্প কর্ম। নানান আকৃতির ক্যাকটাস , কোনটা বলের মত গোল আবার কোনটা বেলনের মত কিংবা পাতার মত চ্যাপ্টা। সির আর কাটার বিন্যাস এদেরকে আরও বিচিত্র করে তুলেছে। তবে এর কাঁটা দেখে বিচলিত হবে না কারন, কাঁটাতেও ফুল ফটে। আর যখন এই কণ্টকাকীর্ণ গাছ ফুলে ভরে উঠে, তৈরি করে এক অপরূপ সুন্দর আবহ, তা আপনাকে বিমহিত করবে। ক্যাকটাস তাই বহুদিন ধরে গাছপ্রেমীদের পছন্দের শীর্ষেই রয়েছে।
আমাদের দেশে ক্যাকটাস জন্মালেও সচরাচর ফুলের দেখা পাওয়া যায় না। এক কারন মুলতঃ আমাদের সংক্ষিপ্ত এবং উষ্ণতর শীতকাল। তাই আমাদের গাছ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আর এ কারনেই কিনা গ্রাফটেড ক্যাকটাস ইদানিং বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে ভাগ্য ভাল থাকলে ফুল ফুটতেও পারে।
আমাদের দেশের আবহাওয়ায় ক্যাকটাস সরাসরি মাটিতে না লাগানই ভাল। কারন এরা অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারেনা। আর প্লাস্টিকের টবের পরিবর্তে মাটির টবে ক্যাকটাস লাগান কারন মাটির টবের পানি নিষ্কাসন বাবস্থা ভাল। ক্যাকটাসের বেঁচে থাকা এবং বেড়ে ওঠার জন্য সরাসরি সূর্যের আলো দরকার। তাই টবে রাখা ক্যাকটাসকে সবসময় ঘরের ভেতর রাখা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘরের বাইরে সরাসরি সূর্যালোকে রাখতে হবে।
মোটা বালু আর কম্পস্ট মিশ্রিত মাটিতে ক্যাকটাস লাগান আর বছরে একবার রি-পটিং করুন।
১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর পানি দিন। খেয়াল রাখবেন যাতে মাটি কখনই ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে না থাকে।
মরু ভুমির গাছ হওয়ায় এরা বেশ কষ্ট সহিষ্ণু। এ কারনে এদের পেছনে আপনাকে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না। ব্যাস্ত জীবনে তাই শখের বাগান করতে চাইলে আপনি ক্যাকটাসকে বেছে নিতে পারেন।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের ক্যাকটাস হাউসে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্যাকটাসের সংগ্রহশালা। তবে কিনতে চাইলে আপনার স্থানীয় নার্সারিগুলোতে খোঁজ নিতে হবে। এছাড়া অনলাইন শপ গুলোতেও খুঁজলে পেয়ে যেতে পারেন আপনার পছন্দের ক্যাকটাস।