টমাটো ,বাগানীদের পছন্দের এক নম্বর সবজি। নিজের বাগানের পাকা ,তরতাজা আর মিষ্টি টমাটোর লোভেই অনেকে বাগানে সবজি চাষ শুরু করেন। বাজার থেকে কিনে আনা টমাটোতে বাগানের ফ্রেশ টমাটোর স্বাদ কখনই পাওয়া যাবে না। তা ছাড়া টমেটো তে আছে নানান ধরনের ভাইটামিন আর মিনারেল যা আপনার শরীরের জন্যেও উপকারী। শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধেও টমাটোর বিরাট ভূমিকা আছে। আপনি যদি বাগানে এখনও টমেটো না লাগিয়ে থাকেন তাহলে এবার ট্রাই করুন।
পাকা টমেটো ছবিঃ সংগৃহীত |
আমাদের দেশে টমেটো মুলতঃ শীতকালীন সবজি হিসাবে চাষ হয়। তবে ইদানিং গ্রীষ্ম কালে চাষের উপযোগী জাতও পাওয়া যায়। শীতকালীন টমেটো চাষের জন্য সেপ্তেম্বর-অক্টোবর মাসে বীজ বপন করে চারা তৈরি করে নিতে হবে। আর সরাসরি চারা লাগাতে চাইলে নভেম্বর মাসে লাগাতে হবে। এতে করে আপনি পুরো শীতকাল জুড়ে টমেটো পেতে পারেন। মনে রাখবেন টমেটো গাছে ফল ধারনের জন্য রাতের বেলা ১০-১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে হবে। অন্যথায় গাছে ফুল এলেও ফল ধরবেনা।
টমাটোর চারা বা ট্রান্সপ্লান্ট সরাসরি মাটিতে লাগাতে পারেন আবার টবেও লাগাতে পারেন। টমেটো টবেও খুব ভাল ফলন দেয়। তাই আপনি ছাদে বা বারান্দায় বাগান করলে টমেটো হতে পারে আপনার জন্য ভাল চয়েজ। টবে পর্যাপ্ত কম্পস্ট আর মাটি মিশিয়ে তাতে চারা লাগান। চারার বৃদ্ধি ভাল না হলে সামান্য পরিমান ইউরিয়া সার দিতে পারেন। গাছে ফুল দেখা দিলে সামান্য পরিমান টি এস পি এবং এম পি সার দিতে হবে।
টমেটো গাছে বেশ কিছু রোগের আক্রমন হতে পারে । এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হল টমাটোর ঢলে পড়া রোগ। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। কোন গাছ এই রোগে আক্রান্ত হলে তা দ্রুত তুলে পুড়িয়ে ফেলুন যাতে অন্যান্য গাছ আক্রান্ত না হয়। এছাড়া লিফ মাইনার , এফিড, সাদা মাছি গাছের পাতা আর ফ্রূট ফ্লাই ও মথ ফল খেয়ে নষ্ট করে দিতে পারে। কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে এদের দমন করা যায় তবে ছোট পরিসরে বাগানে কীটনাশক প্রয়োগ সম্ভব নাহলে জৈব দমন পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন।
টমেটো গাছে বেশ কিছু রোগের আক্রমন হতে পারে । এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হল টমাটোর ঢলে পড়া রোগ। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। কোন গাছ এই রোগে আক্রান্ত হলে তা দ্রুত তুলে পুড়িয়ে ফেলুন যাতে অন্যান্য গাছ আক্রান্ত না হয়। এছাড়া লিফ মাইনার , এফিড, সাদা মাছি গাছের পাতা আর ফ্রূট ফ্লাই ও মথ ফল খেয়ে নষ্ট করে দিতে পারে। কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে এদের দমন করা যায় তবে ছোট পরিসরে বাগানে কীটনাশক প্রয়োগ সম্ভব নাহলে জৈব দমন পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন।