কন্টেইনার বাগান হল শুধুমাত্র কন্টেইনার বা টবে ছোট পরিসরে বাগান । এই পধতিতে বিভিন্ন ধরনের গাছ একসাথে অপেক্ষাকৃত বড় আকারের টবে বা কন্টেইনার লাগানো হয় যাতে করে তা একটা বাগানের আবহ তৈরি করে। কন্টেইনার বাগান তৈরিতে বাগান করার দক্ষতার পাশাপাশি সৃজনশীলতা দরকার।
কন্টেইনার গার্ডেন ছবিঃ সংগৃহীত |
ঢাকা শহরে অট্টালিকার ভিড়ে মাটিতে বাগান করার জায়গা কোথায়! এমন বাস্তবতায় কন্টেইনার বাগান হতে পারে একটি চমৎকার সমাধান ।
আপনার বাসায় বাগান করার উপযুক্ত স্থান এতই সল্প যে আপনি এক-দুইটির বেশী টব রাখতে পারছেন না ! সে ক্ষেত্রে আপনি একটি টবে একটি মাত্র গাছ না লাগিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ একই টবে লাগিয়ে সহজেই বানাতে পারেন কন্টেইনার গার্ডেন।
আসুন জেনে নেই কন্টেইনার গার্ডেন তৈরির কিছু খঁটিনাটি বিষয়:
আসুন জেনে নেই কন্টেইনার গার্ডেন তৈরির কিছু খঁটিনাটি বিষয়:
১। প্রথমেই সঠিক কন্টেইনার বা টব বাছাই করতে হবে। এই কাজের জন্য বড় আকারের টব বাছাই করতে হবে। গতানুগতিক মাটির টবের পরিবর্তে ভিন্ন আকৃতির টব ব্যবহার করুন। তবে কখনোই লাল, নীল, সবুজ ইত্যাদি চোখ ধাঁধানো রঙের টব ব্যবহার করবেন না। এতে করে গাছের চেয়ে টবের উপর বেশি ফোকাস পড়ে।
২। টবের সাইজ এবং গাছের ধরনের উপর ভিত্তি করে গাছের সংখ্যা নির্ধারণ করুন। বড় আকারের গাছগুলো টবের মাঝখানে আর অপেক্ষাকৃত ছোট গাছগুলো কিনারে লাগান। লতা জাতীয় গাছ লাগালে তা অবশ্যই টবের কিনারে লাগাবেন।
২। টবের সাইজ এবং গাছের ধরনের উপর ভিত্তি করে গাছের সংখ্যা নির্ধারণ করুন। বড় আকারের গাছগুলো টবের মাঝখানে আর অপেক্ষাকৃত ছোট গাছগুলো কিনারে লাগান। লতা জাতীয় গাছ লাগালে তা অবশ্যই টবের কিনারে লাগাবেন।
ইনডোর কন্টেইনার গার্ডেন |
৩। সাধারণ মাটি ব্যবহার না করে কোকো ডাস্ট-কম্পস্ট মিক্স ব্যবহার করুন। এতে করে কন্টেইনার ওজনে হালকা হবে। ফলে এটি সহজেই নাড়াচাড়া করা যাবে।
৪। ইনডোর এবং আউটডোর প্লান্ট একসাথে লাগাবেন না। যদি ইনডোর এ রাখার জন্য কন্টেইনার গার্ডেন বানাতে চান তাহলে শুধুমাত্র ইনডোর প্লান্ট লাগান।
৫। শুধুমাত্র ফুলের গাছ না লাগিয়ে একইসাথে বিভিন্ন অর্নামেন্টাল গাছও লাগান। আর শুধুমাত্র ফুলের গাছ লাগালে এমন ভাবে গাছ সিলেক্ট করুন যাতে সারা বছর ফুল ফুটে থাকে।
৬। উচ্চতা এবং বৃদ্ধি অনুযায়ী কয়েক স্তরের গাছ বাছাই করুন।
৭। এক বছর অন্তর রি-পটিং করুন। এ সময় গাছের শিকড় ও কাণ্ড ছেঁটে দিন। প্রয়োজন হলে পুরনো গাছ ফেলে দিয়ে নতুন করে গাছ সংযজন করুন।
৭। এক বছর অন্তর রি-পটিং করুন। এ সময় গাছের শিকড় ও কাণ্ড ছেঁটে দিন। প্রয়োজন হলে পুরনো গাছ ফেলে দিয়ে নতুন করে গাছ সংযজন করুন।