নেট হাউজ, বাংলাদেশ ছবিঃ সংগৃহীত |
নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়ায় গাছপালা জন্মানোর জন্য মুলতঃ গ্রিনহাউজ তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমনঃ ইউরোপ এবং আমেরিকাতে প্রচণ্ড শীতের হাত থেকে গাছকে রক্ষার জন্য গ্রিনহাউজ তৈরি করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের মত ট্রপিকাল আবহাওয়ার অঞ্চলে গাছকে অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য নেট হাউজ তৈরি করা হয়। তবে নির্মাণের দিক দিয়ে একই রকম হওয়ায় নেট হাউজকে অনেকেই গ্রিন হাউজ নামেই অভিহিত করে থাকেন।
তবে গ্রিনহাউজ হোক বা নেট হাউজ হোক, দুটোই তৈরি করা হয় স্টিল বা কাঠের কাঠামোর উপর স্বচ্ছ ম্যাটেরিয়ালের বহিরাবরণ দিয়ে। শুধুমাত্র যেখানে গ্রিনহাউজের জন্য কাঁচ বা এক্রাইলিক ব্যাবহার করা হয় সেখানে নেটহাউজের জন্য পলিস্টারের তৈরি নেট ব্যাবহার করা হয়।
গ্রীনহাউজের বেশ অনেক গুলো ডিজাইন প্রচলিত আছে । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রিট্রাক্টেবল রুফ গ্রিনহাউজ, পলি টানেল, দোচালা গ্রিনহাউজ ইত্যাদি।
বড় আকারের বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজ স্টিল কাঠামোতে তৈরি করা হলেও বাসাবাড়ির বাগানের জন্য ছোট আকারের গ্রিনহাউজ তৈরি করা হয় কাঠের কাঠামো দিয়ে। আমাদের দেশে কাঠের বদলে বাঁশ ব্যাবহার করে নেটহাউজ তৈরি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক গ্রিনহাউজ খুব একটা নাই বললেই হয়। শুধু মাত্র ফুল উৎপাদনের জন্য কিছু কিছু নেটহাউজ ব্যাবহার হচ্ছে।
আপনি যদি বাগানে সবজি চাষ করতে চান তাহলে নেটহাউজ তৈরি করে নিতে পারেন। কারন এতেঃ
১। অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং ঝড়ে আপনার গাছের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
২। পোকা মাকড়ের আক্রমন থেকে আপনার সবজি বাগান রক্ষা পাবে ফলে আপনাকে কীটনাশক ব্যাবহার করতে হবে না।
তাই শুরুতে খরচ একটু বেশী হলেও নেটহাউজের সুবিধাগুলো বিবেচনায় নিলে সবজি বাগানের জন্য
নেট হাউজ তৈরি করে নেওয়াই ভাল।