বাগান করতে গেলে গাছপালার বৃদ্ধি এবং নানান ধরনের রোগজীবাণু বা পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কেমিক্যাল ব্যাবহার করতে হতে পারে। মোটা দাগে এইসব কেমিক্যাল গুলো তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমনঃ
বাগান কীটনাশক ছবিঃ সংগৃহীত |
২। গাছের রোগজীবাণু ও পোকামাকড় দমনের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক কীটনাশক, জীবাণুনাশক, ছত্রাকনাশক ইত্যাদি।
৩। গাছের প্রপাগেশন তথা বংশবৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক পদার্থ যেমনঃ রুট হরমন, গ্রোথ হরমন ইত্যাদি।
আমাদের দেশে বাজারে যে সকল কেমিক্যাল পাওয়া যায় সেগুলো মুলতঃ বাণিজ্যিক চাষাবাদের জন্য ব্যাবহার করা হয়। অন্য দিকে শখের বাগানের জন্য যে সার ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহৃত কেমিক্যাল হতে ভিন্ন। সঠিক ভাবে ব্যবহার না করলে এইসব কেমিক্যাল শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আপনার উচিত হবে যথা সম্ভব রাসায়নিকের পরিবর্তে জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যাবহার করা।
আধুনিক চাষাবাদের নানান সিস্টেম যেমনঃ হাইড্রপনিক বা ইনডোর ফারমিং বলতে গেলে পুরটাই রাসায়নিক নির্ভর। এই সব সিস্টেমে এমন রাসায়নিক সার ব্যাবহার করতে হয় যা গাছ সরাসরি শিকড়ের মাধ্যমে গ্রহন করতে পারে। এগুলো তরল সার হিসেবে পরিচিত এবং ইদানিং আমাদের দেশের বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে।